এই পোস্টে আপনি কোচিং নিয়ে আপনার যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন

এই পোস্টে আপনি কোচিং নিয়ে আপনার যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন...  



১. আমি পরীক্ষা ভালো দেই নি, প্লাস নিয়ে টানাটানি। এখন কি আমার কোচিং এ ভর্তি হওয়া উচিত হবে? 

উত্তর- প্রথমেই আপনাকে বুঝতে হবে কোচিং একটি গাইডলাইন মাত্র, আপনি কোচিং এ নতুন কিছু শিখবেন না, কোচিং আপনাকে শর্টকাট মেথড শেখাবে, আপনার পড়ার ধারা বজায় রাখবে। কিন্তু আপনি যদি ভাগ্যের দোষ ছাড়া নিজের দোষে এক্সাম খারাপ করেন তাহলে পরামর্শ থাকবে বাসায় কোনো টিচার নিয়ে নিজের ল্যাকিংস পূরণ করার.. 


২. কোচিং অনলাইনে করব নাকি অফলাইনে? কোনটা বেস্ট হবে? 

উত্তর- অফলাইন কোচিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে যাতায়াত এর টাইম আলাদা করতে হবে পড়ার রুটিন থেকে, ক্লাসরুমের কোলাহল এর টাইম স্কিপ করতে হবে.. অনলাইন কোচিং এ দীর্ঘসময় স্ক্রিনের সামনে বসে থাকতে হবে, যা অনেক ক্ষেত্রে বিরক্তির কারণ। কিন্তু যাতায়াতের টাইম সেভ হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে নিজের ডিসিশন নিতে হবে কোনটা আপনার জন্য ভালো.. আপনি কোনটাতে কম্ফোর্ট ফিল করেন সেটাই আপনার ১ম চয়েজ থাকবে। 


৩. এক্সাম ব্যাচে ভর্তি হবো নাকি সম্পূর্ণ কোচিং সেবা নিব? 

উত্তর- সম্পূর্ণ কোচিং সেবায় আপনি বিভিন্ন মানুষের সাথে পরিচিত হতে পারবেন যার দরুণ তাদের সাথে কথাবার্তা বা তাদের প্রগ্রেস দেখে আপনার পড়ার গতি বাড়তে পারে আবার কমতেও পারে। আর এক্সাম ব্যাচে ভর্তি হলে আপনার দায়িত্ব আপনাকে নিতে হবে, এক্সাম নিয়মিত দিলে পরীক্ষার ভীতি অনেকাংশে কমবে এবং নিজের অগ্রগতি সম্পর্কে ধারণা পাবেন। দুটো সেবাই গ্রহণযোগ্য। কিন্তু এমন অনেক উদাহরণ আছে যেখানে কোচিং এ অনেকেই এক্সাম কে সিরিয়াসলি নিতে পারেন না, ফলশ্রুতি তে হতাশায় ভোগেন। কোচিং ব্যাচে ভর্তি হওয়ার আগে আপনি কতটুকু কুলাতে পারবেন তার ধারণা রাখবেন নাহলে ২০+ হাজার টাকার আফসোস উঠাতে পারবেন না..  


৪. মেডিকেল নাকি ইঞ্জিনিয়ারিং নাকি ভার্সিটির প্রিপারেশন নেওয়া আমার জন্য ভালো হবে? 

উত্তর- ৩ টাই সমান হারে কঠিন, আপনার যেদিকে ডেডিকেশন সেদিকেই লাইফ কে চালনা করুন। কোনোটার প্রস্তুতিই সহজ নয়।  


৫. মেইন শাখায় কোচিং করব নাকি এলাকায়? 

উত্তর- এডমিশন এর টাইম টা লাইফের সবচেয়ে বাজে একটা সময়। এসময় একদিক দিয়ে মানসিক প্রেশার অন্যদিকে শারীরিক। যেটা আপনার কাছে আছে সেটাতেই ভর্তি হোন। মেইন শাখা, জেলা শাখায় সমান সেবাই পাওয়া যায়। পড়াশোনা নিজের। এতদিনের পড়ার পরিবেশ ছেড়ে নতুন পরিবেশ এ গেলে আপনি খাপ নাও খাওয়াতে পারেন পরিবেশের সাথে। 


৬. কোচিং ছাড়া কি এডমিশন এ যাওয়া যায় না? কেউ কি চান্স পায় না? 

উত্তর- অবশ্যই পায়, যারা পরিশ্রমী, যারা স্বপ্নকে স্বপ্নের মত।দেখতে পারে তারা চান্স পায়। পড়াশোনা নিজের, যে যত বেশি জ্ঞান নিয়ে এক্সাম দিতে যাবে তার চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। 


৭. আমি যদি কোচিং না করি তাহলে আমি কিভাবে প্রস্তুতি নিবো? 

উত্তর- ১ম এ আপনাকে আপনার বোর্ড বই, রেফারেন্স বই ভালো ভাবে শেষ করতে হবে, কয়েকবার শেষ করতে হবে। তারপর প্রচুর পরিমাণে প্রশ্নব্যাংক সলভ করতে হবে। এডমিশন এ ব্যাসিক থেকে প্রশ্ন থাকে। নিজেকে স্ট্রং করতে আপনি ইউটিউব ক্লাস, কিংবা কোনো প্রাইভেট টিচারের শরণাপন্ন হতে পারেন। নিজে কভার আপ করতে পারলে বেশি উত্তম।


৮. সবাই কোচিং এ ভর্তি হচ্ছে, আমার এত টাকা নেই, আমি ভেঙে পড়ছি এর থেকে মুক্তির কি উপায়? 

উত্তর- বোকা মানুষ আপনি... মেধা কখনো অন্যের ইশারায় চলে না, আপনার সামর্থ্য নেই আপনি নিজেকে যোগ্য করে তুলুন। নিজের সেরা টা পড়ার টেবিলে দিন। কোচিং কাউকে চান্স পাওয়ায়ে দেয় না কখনোই এটা মনে রাখবেন। 


৯. এক সাথে একাধিক কোচিং ব্যাচে ভর্তি হওয়ার সুবিধা কি? 

উত্তর- কোনো সুবিধা নেই। এক্সাম দিতে পারবেন এইটুকুই। 


আর কোনো প্রশ্ন থাকলে জানাবেন, উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ ❤️

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন